বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মেয়র মাঈন উদ্দিন।
তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং দাবিদার ছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পক্ষে জনমত থাকার পরও কোনো কারণ ছাড়াই মেয়র থাকাকালীন অবস্থায় আমাকে দলের মনোনয়ন না দেয়ায় দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে ও দলীয় পদ থেকে আমি পদত্যাগ করছি। আমার কর্মের মূল্যায়ন পৌরসভাবাসী করবে। তারাই আমার দল ও প্রতীক। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।’
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে মাঈন উদ্দিনকে মনোনয়ন না দেয়ার প্রতিবাদ হিসেবে উপজেলা ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
বিএনপির আরেক প্রার্থী সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মলাই মিয়াও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। কারও পক্ষে রায় না গেলে বরাবরই বলে থাকেন যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। আর পদত্যাগের বিষয়টি আমি মাত্র শুনলাম।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ অক্টোবর নবীনগর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাবুদ্দিনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।