তিনি বলেন, ‘এখন দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। আপনারা (সরকার) বাংলাদেশে ডাকাতির শাসন ব্যবস্থা কামের করে ব্যাপক লুটতরাজ করে জনগণের অর্থ চুরির কাজে লিপ্ত হয়েছেন।’
বুধবার রাজধানীতে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ফখরুল আরও বলেন, ‘এই যে কোভিড-১৯ এত বড় একটি ভয়াবহ মহামারি, এই মহামারিতে আপনারা লুটপাট বন্ধ করেননি।’
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে ‘চুরি’ করছে: ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালনের অংশ হিসাবে ঢাকা দক্ষিন সিটি ইউনিটের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে প্রায় ১২ বছর ধরে দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদশ ‘হাইব্রিড রেজিমের’ দেশে পরিণত হয়েছে: ফখরুল
‘তারা (সরকার) মনে করছে দেশপ্রেমিক এবং গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণকে দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে দাবিয়ে রাখতে পারবে।কিন্তু এটি সম্ভব নয়, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জানে,’ বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, জনগণ সংগ্রাম ও বহু ত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ‘বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজনে রক্ত ঝরিয়ে আবার গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে।’
আরও পড়ুন: আ’লীগের বিরাজনীতিকরণ ফরমুলা এখনও চলমান: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে এবং তারেক রহমানকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে নির্বাসনে রাখা হয়েছে। ফখরুল বলেন, তারেক তার বাবা জিয়াউর রহমান ও মা খালেদা জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করায় সরকার তাকে ভয় পায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান এক নন। তার সাথে দেশের ১৬ কোটি গণতন্ত্র প্রেমী জনগণ রয়েছ। ফলে মামলা দিয়ে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে গণতন্ত্রের আন্দোলনকে দমন করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ২ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, সরকার তার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার বিভাগের মর্যাদাকে ধ্বংস করেছে। ‘আপনারা খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সরকারকে জনবিরোধী হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।