বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দল ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
আয়োজকরা জানান, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক একদলীয় বাকশাল শাসন প্রবর্তন, বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
দুপুর থেকেই দলীয় শত শত নেতাকর্মী ছোট ছোট মিছিল নিযে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থল ও আশপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: ‘বাকশালের গণতন্ত্র’ জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
বিএনপি ছাড়াও অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলোও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণতান্ত্রিক বম ঐক্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৃথক সমাবেশ করেছে এবং ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সমাবেশ থেকে একই দিনে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বিএনপি।
এছাড়া বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং এফডিসি ক্রসিংয়ে সামনে সমাবেশ করছে এলডিপি।
৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬ জানুয়ারি সমাবেশ ও মিছিলের পর এটি যুগপৎ আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি।