তিনি বলেন, ‘বিষয়টি (প্রার্থী প্রত্যাহার) নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি (আওয়ামী লীগের সাথে)। তারা আমাদের বলেছেন এটি বিবেচনা করবেন। কিন্তু আমরা এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারিনি। এটি হবে কি না তা এখনই বলতে পারছি না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জিএম কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাদের আলোচনার ফল দেখতে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনে আগামী ৫ অক্টোবর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জাতীয় পার্টি রবিবার রাহগীর আল মাহী ওরফে সাদ এরশাদকে মনোনয়ন দেয়। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বেছে নেয়া হয়েছে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুকে। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রিটা রহমান।
জিএম কাদের বলেন, দলের সিনিয়র নেতাদের আলোচনা ও ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তারা সাদ এরশাদকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা সাদের বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবেন।
দলের বিভাজন নিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে এখন কোনো ফাটল নেই এবং তারা ঐক্যবদ্ধ আছেন। ‘দ্বন্দ্ব নিরসনে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে আমরা একটি সংকট ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করেছি। শনিবারের সমঝোতায় কেউ পরাজিত হয়নি। আসলে দলের সবার জয় হয়েছে।’