বিএনপি তাদের এক দফা দাবি ঘোষণার একদিন পর সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার ‘সংস্কার’ এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা উন্মোচন ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে যেসব দল আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই রূপরেখা প্রণয়ন করেছি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি এটা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই।’
বিএনপি নেতা বলেন, ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য তারা বুধবার রাজধানীতে তাদের সমাবেশ থেকে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র নির্বাচন ও শাসন পরিবর্তনের জন্য নয় বরং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সামগ্রিক গুণগত পরিবর্তন এবং দেশকে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা এখন ৩১-দফা রূপরেখা ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
ফখরুল বলেন, এই রূপরেখা জাতির জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ,’ কারণ, এতে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তাদের দলের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। ‘তারা (জনগণ) এখন দেশের মালিকানা হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।এই রাষ্ট্রটি মেরামত এবং পুনর্নির্মাণ করা দরকার।’
ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের একটি জনকল্যাণমুখী সরকার গঠন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।