দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে সহায়তা করতে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে সবাইকে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করতে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতামূলক সংসদ গঠনের আহ্বান জানাতে চাই।’
সোমবার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে সিইসি নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ কমিশনার
সিইসি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে সুশাসন ও সংসদ উপহার দেব। এ দিক থেকে আমাদের কোনো কৃপণতা থাকবে না।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সবাইকে নির্বাচনমুখী করতে চাই। আমাদের প্রচেষ্টায় কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না- দলটির এমন ঘোষণার প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ঘোষণার পরও আমরা কি তাদের আলোচনা ও চা খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাব না?’
সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে কমিশনকে সহায়তা করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন, বিশেষ করে সংসদীয় নির্বাচন একটি ব্যাপক কাজ। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে রাজনৈতিক দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগ
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে নতুন সিইসি বলেন, ইসি সার্বিকভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা করবে। “রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে ন্যূনতম সমঝোতা না হলে আমি তাদের ‘মুরুব্বি’ (মধ্যস্থতাকারী) হতে পারব না।”
তিনি বলেন, ‘তারা (রাজনৈতিক দল) আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ। আমরা তাদের কাছে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য আবেদন করবো।’
এ সময় হাবিবুল আউয়াল বলেন, তার কমিশনের সব সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম গ্রহণ রাষ্ট্রপতির
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা ভোটারদের আস্থায় আনতে চাই।’
এ সময় নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবিব খান, এম আলমগীর ও আনিসুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।