তিনি বলেন, ‘তারা একের পর এক সংবেদনশীল জায়গায় আঘাত করবে এবং আমরা এই (সংবেদনশীল সমস্যা) নিয়ে খুব উত্তেজিত হয়ে উঠি। কিন্তু আসল জায়গাটায় (গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার) আমরা হাত দিতে চাই না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, গণমাধ্যম, গণকণ্ঠ অবরুদ্ধ, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে? শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: লেখক মুশতাকের ‘হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্রীয়ভাবে’ হয়েছে: অভিযোগ বিএনপির
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ৩০ মার্চ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) মাঝে মাঝে আমাদের বিভিন্ন সংবেদনশীল জায়গাগুলোতে স্পর্শ করবে এবং আঘাত করবে। যদি আমরা এগুলোতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি তবে তারা আরামদায়ক দিনপার করতে পারে। গত ১২-১৩ বছরে এ জাতীয় জিনিস দেখা গেছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ যে চরিত্রের, আওয়ামী লীগ যা চায়-আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের জন্য, মানুষের জন্য না। আর ভূপেন হাজারিকার গান শুনেছি- ‘মানুষের মানুষের জন্য’।
‘এই ক্ষেত্রে তারা (আ.লীগ) সফল এবং এটি অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের উদ্যোগের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য গর্বিত। দেশ স্বাধীন কোনো ভাষণে হয়নি। দেশ স্বাধীন হয়েছে যুদ্ধে।’
‘সেই যুদ্ধের ডাক দিলেন কে? তিনি জিয়াউর রহমান। যুদ্ধ করেছেন কে? জিয়াউর রহমান। সুতরাং দেশ যতদিন থাকবে, জিয়াউর রহমান ততদিন থাকবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: তারেককে দিয়ে বিএনপির স্বাধীনতার অনুষ্ঠান উদ্বোধন মুক্তিযুদ্ধের অসম্মান: কাদের
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কে বা কারা জিয়াউর রহমানের খেতাব নিল কি নিল না, জিয়াউর রহমানকে কে কী বলল কী বলল না- তাতে কিছু যায় আসে না। জিয়াউর রহমান তার জায়গায় আছেন, তিনি নিজের জায়গায় থাকবেন যতদিনে দেশ থাকবে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।