বুধবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩০ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে দলটি।
মোশাররফ বলেন, ‘সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপি সারা বছর নানা কর্মসূচি পালন করবে। আমরা আজ মার্চ মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। প্রতি মাস শেষ হওয়ার আগে পরবর্তী মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা
আল জাজিরার প্রতিবেদনে সরকার বিচলিত: বিএনপি
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ মার্চ সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচির উদ্বোধন, ২ মার্চ ছাত্র সমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন শীর্ষক আলোচনা সভা, ৩ মার্চ ছাত্র সমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ শীর্ষক আলোচনা সভা, ৭ মার্চ আলোচনা সভা, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন, ৯ মার্চ সেমিনার, ১০ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা, ১৩ মার্চ বছরব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন, ১৫ মার্চ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২০ মার্চ আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার, ২২ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, জেড ফোর্স এবং বীর উত্তম জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনার, ২৩ মার্চ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেলা, ২৪ মার্চ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বৈরাচারী এরশাদের জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল শীর্ষক সেমিনার, ২৫ মার্চ কালোরাত্রি শীর্ষক আলোচনা সভা।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শের-ই বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, রক্তদান কর্মসূচি, সারা দেশে র্যালি করবে দলটি।
২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গমন ও বগুড়ায় বাগবাড়ি গমন এবং দুই স্থানে আলোচনা সভা, ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবর্ণজয়ন্তী মহাসমাবেশ ও ৩১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর উদ্বোধন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমরা দেশের দলমত নির্বিশেষ সকল পেশা সকল জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে এবং গুরুত্বের সাথে যার যার অবস্থান থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেন। কারণ এই স্বাধীনতা এদেশের জনগণের প্রস্ফুটিত স্বাধীনতা, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, তাই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সকলে উদযাপন করতে চাই।’
আরও পড়ুন: মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় খালেদার কাছে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতারা
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির কমিটি
তিনি বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের এসব অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠুভাবে যাতে করতে পারি তার জন্য সহযোহিতা চাইব। তেমনিভাবে আমরা সরকারের কা্ছেও সহযোগিতা চাই যাতে করে আমরা এই পঞ্চাশ বছর পূর্তির এই যে আমাদের আবেগ, আমাদের যে উচ্ছাস যাতে করে নির্বিঘ্নে সুন্দরভাবে পালন করতে পারি তার জন্য সরকারের কাছ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।’
বিএনপি নেতা এ উপলক্ষে তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘স্থায়ী মুক্তি’ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।