বরিশাল সদর উপজেলায় ইউএনও’র বাসভবনে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বরিশালের ঘটনাই বলে দিচ্ছে যে সরকার সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে। সরকার ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের ছেড়ে দেয়ায় এ ধরনের ঘটনা সর্বত্র ঘটছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীদের সাথে রাজধানীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) কর্মীরা ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে তাকে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুমকি দিয়েছে। আপনি কি এটাকে সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ বলবেন? এটি (বর্তমান সরকার) পাকিস্তানিদের চেয়েও খারাপ।
একই ধরনের কর্মসূচি নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের পর পুলিশ স্বল্পসংখ্যক সেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের জিয়ার কবরস্থানে প্রবেশের অনুমতি দেয়।
মঙ্গলবার চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ব্যাপারে বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ বিএনপির নেতাকর্মীদের দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসামগ্রী বিতরণেও বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার দমনমূলক কর্মকান্ড দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের দমন করার চেষ্টা করছে, যাতে তারা দেশের মানুষের পক্ষে আওয়াজ তুলতে না পারে।
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে তাদের দলের কমপক্ষে ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে এবং মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি সরকারের কাছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির চার নেতা কারাগারে