বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেছেন, সরকারের নীল নকশা অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা হামলার শিকার কিছু মন্দির পরিদর্শন করেছি এবং প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য লোকদের সাথে কথা বলেছি। এসব হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন বিএনপির সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। কমিটি এর আগে সহিংসতা সংগঠিত হওয়া এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এ সময় সরকার হামলাকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের তুলে নেয়া বা গ্রেপ্তার ও হয়রানি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এভাবে একটি নীলনকশার অংশ হিসেবে হামলাকারীদের আড়াল করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে, এটা বলা যেতে পারে যে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, যদিও হামলাকারীদের সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দায়ে করা মামলায় নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা বলব না যে শুধুমাত্র হিন্দুরাই এই হামলার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ আমরা মনে করি পুরো জাতিকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমণকারীদের প্রতিহত করার জন্য আমাদের অবশ্যই সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি গণমাধ্যমকে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে ১৭ অক্টোবর, বিএনপি সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং ঘটনার সত্যতা তদন্তের জন্য দুটি কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে আ.লীগের লোকেরা জড়িত: বিএনপি
২৩ অক্টোবর গয়েশ্বর নেতৃত্বাধীন কমিটি কুমিল্লা ও চাঁদপুরের তিনটি মন্দির পরিদর্শন করে এবং পুরোহিত ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন।