‘সরকারি বাহিনীর গ্রেপ্তার ও হয়রানির’ হুমকি উপেক্ষা করে ১৯ নভেম্বর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিলেট নগরীতে সপ্তম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান, আগের অভিজ্ঞতা থেকেই নেতাকর্মীদের কৌশলগত নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্য জেলা থেকে যে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন তাদের বাড়িতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আগের মতো সমাবেশকে সামনে রেখে পরিবহন ধর্মঘটের আশঙ্কায় সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের কয়েকদিন আগেই শহরে আসতে বলা হয়েছে। দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও একই নির্দেশনা দেয়া হয়।
১৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে আসবেন। এ জন্য ওই দিন থেকে নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেবেন।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ জানান, ১৯ নভেম্বরের আগে জেলায় কোনো ধরনের পরিবহন ধর্মঘটের খবর তিনি পাননি। এখন পর্যন্ত তিনি পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কোনো খবর পাননি।
আরও্র পড়ুন: সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে গণমাধ্যমকে আগেই জানানো হবে।’
সিলেট মহানগরের সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও সমাবেশ সফল করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সিলেটের জনসভা সফল করবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এখানকার বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
এছাড়া ১০ নভেম্বর সমাবেশ সফল করতে ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল কাইয়ুম।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেছেন, সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশের অভিযানের অভিযোগ সত্য নয়।
এসএমপি কমিশনার বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার করা পুলিশের একটি নিয়মিত কাজ। অহেতুক কাউকে হয়রানি করা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়।’
চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও্র পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ শুরু