হবিগঞ্জে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় লাখাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোলায়মান রনিকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।
এদিকে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার মিঠু মিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে শুক্রবার রাতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি সোলায়মান রনি ও শুভ মিয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রেল যাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হবিগঞ্জ শাখর সভাপতি সাইদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে লাখাই ছাত্রলীগের সদস্য সোলায়মান রনিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। মামলার অপর পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট দুপুরে এক নারী তার স্বামী ও এক বন্ধুকে নিয়ে উপজেলার টিক্কাপুর হাওড়ে বেড়াতে যান। মামলার প্রধান আসামি মুসা মিয়ার নেতৃত্বে অপর নৌকায় থাকা আট যুবক তাদের নৌকায় হামলা চালায়। ভুক্তভোগীর স্বামী ও তার বন্ধুকে হাত পা বেধে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারা নববধূর স্বামী ও তার বন্ধুর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আরও পড়ুন: ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ভাক্তভোগীর স্বামী জানান, লোকলজ্জা ও ধর্ষকরা অত্যন্ত প্রভাবশালী সেই ভয়ে তার স্ত্রীর চিকিৎসা এলাকায় না করে পার্শ্ববর্তী নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওযায় তাকে ১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -২ এ মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার রনি ও শুভকে র্যা ব- ৯ এবং শুভকে লাখাই থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুল ইসলাম জানান, মামলার অন্যান্য আসামি মোড়াকরি গ্রামের বাসিন্দা খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ওয়াহাব মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২০) পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এসআই জেলে
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত এখনও কোন আদেশ দেননি ‘