হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশ হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০০ জনকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দুপুরে হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হলে পুলিশ কোনো উসকানি ছাড়াই সমাবেশে হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলি করে,এতে তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: বিএনপি এখনও আমন্ত্রণ পায়নি
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
রিজভী জানান, আহতদের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহমেদ রিগান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শরীফ, জেসিডি নেতা সাইদুর রহমান, আরশাদ, আব্দুল আহাদ তুষার, মৎস্যজীবী দল নেতা মোবারক হোসেন, শিপন আহমেদ শাহজাহান ও জহির আলী রয়েছেন।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের হামলা বর্বর ও ন্যাক্কারজনক। অবৈধ শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার লাঠিগুলিকে নিজেদের অবলম্বন মনে করছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী নাৎসিবাদ এখন চরম মোড় নিয়েছে এবং এটি রক্তের গন্ধ নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা জোর করে গুম, হত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সহিংস সন্ত্রাসবাদের অনুশীলন করছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য সরকার পুলিশকে তাদের প্রাণঘাতী অস্ত্রে পরিণত করেছে। যখনই তারা গণতন্ত্র স্বীকৃত মিছিল বা সমাবেশ দেখেন, তখনই তারা পুলিশকে দিয়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি