ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে তিনি গুলশানের বাসা থেকে বের হন। এরপর সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ-সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে পৌঁছান।
এদিকে, নেতার আগমনের খবরে শাহবাগ মোড় ও আশেপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
অনেকে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা প্রদর্শন করে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
তবে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। শাহবাগ থানার সামনে নিরাপত্তা বেস্টনি দিয়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমানের নির্বাচন কমিশন (ইসি) অফিসে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি নাগরিক হিসেবে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।
এরপর তিনি ধানমণ্ডিতে তার শ্বশুরবাড়িতে যাবেন। ধানমণ্ডি থেকে অসুস্থ মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তারেক রহমান।
তবে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান) জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত না থাকায় সেখানে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মিডিয়া সেল এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। এরপর তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
গত বৃহস্পতিবার দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে বিএনপি গণসংবর্ধনার আয়োজন করে। সেখানে লাখ লাখ মানুষ ও বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।