১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংস হামলাকে 'গণহত্যা' হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এই ‘ন্যায়বিচারের আহ্বান’ জানানো হয়েছে। ভিডিওটি আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
পোস্টটিতে বলা হয়েছে, ‘বাঙালিরা পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের সমকক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চেয়েছিল। পরিবর্তে, ঘুমের মধ্যে তাদের নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘২৫ মার্চ ইয়াহিয়া খানের সহকর্মী টিক্কা খান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করার জন্য ডেথ স্কোয়াডকে একত্র করে। তারা এক রাতে সাত হাজার বাঙালিকে হত্যা করে। সেই দিন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনারা দু’লাখেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ এবং ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি সম্প্রীতি বাংলাদেশের
এই ব্যাপক গণহত্যার ফলে ৩০-৪০ মিলিয়ন বাঙালি বাস্তুচ্যুত হয় এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়।
হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া গণহত্যার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল।
এই প্রতিবেদনে পূর্ব পাকিস্তানে নিয়োজিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে ব্যাপক নৃশংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টটিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এই প্রতিবেদনের প্রতিটি কপি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই জঘন্য অপরাধগুলো এখনও গণহত্যা হিসেবে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত হয়নি। ১৯৭১ সালের এই নারকীয় হামলাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে শুধুমাত্র গণহত্যার ভুক্তভোগীদের ভয়াল অভিজ্ঞতার প্রতি চরম অবিচার করাই হবে না; এর ইতিহাসের প্রতিও অবিচার করা হবে।’
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট