বিশ্বজুড়ে শ্রেষ্ঠ কাজগুলোর অঙ্কুরে সব সময় ছিল তার পেছনের মানুষগুলোর বিশ্বাস এবং জীবনবোধ। এর সাথে যুক্ত হয়েছিলো তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা যা মহাকাল জুড়ে চির অম্লান হয়ে আছে। ঠিক তেমনি এক ইতিহাসের জন্ম হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন শরীফ তৈরির মাধ্যমে। এটি পূর্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআন তৈরির সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের করাচীতে বিশাল টিম নিয়ে শুভ মহরতে কাজটি শুরু হয়ে গেছে। চলুন, বিস্ময়কর এই নির্মাণ শৈলীর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।
স্বর্ণখচিত বিশ্বের বৃহত্তম পবিত্র কোরআন নির্মাণ প্রজেক্ট
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই পবিত্র কোরআন তৈরির কাজটি হাতে নিয়েছে স্বনামধন্য পাকিস্তানি ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী শহীদ রাসাম। এ প্রজেক্টটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এ্যালুমিনিয়ামের উচ্চ মানের ক্যানভাসের উপর এই পবিত্র কোরআনের অক্ষরগুলো সোনা দিয়ে বানিয়ে বসানো হবে। ৫৫০টি পৃষ্ঠার জন্য প্রায় ২০০০ কেজি এ্যালুমিনিয়াম এবং ৮০ হাজার অক্ষরের জন্য প্রায় ২০০ কেজি সোনা ব্যবহার করা হবে। ফ্রেম ছাড়া ৬.৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮.৫ ফুট প্রস্থের এই বিশাল পবিত্র কোরআনের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ১৫০টি অক্ষর বসানো হবে।
আরও পড়ুন: এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে আর্ট ক্যাম
পাঁচ বছর পূর্বে শুরু করা দুর্দান্ত এই হস্তশিল্পের কাজটি ২০২৫ সাল নাগাদ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন শহীদ রাসামের টিম। পুরো প্রজেক্টের ব্যয়ভার শহীদ রাসাম নিজেই বহন করছেন। তবে এই মহৎ কাজটির সুষ্ঠুভাবে সমাধার জন্য তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুরাও তাকে সাহায্য করছেন।
১৪০০ বছরেরও অধিক সময়ের পুরোনো ইসলামী ইতিহাসে এত বিশাল আকারের স্বর্ণখচিত পবিত্র কোরআন শরীফ এই প্রথমবার নির্মিত হতে যাচ্ছে।
স্বর্ণশোভিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআন কারিগরেরা
চিত্রকর শহীদ রাসামের উপর চিত্রশিল্পের পৃষ্ঠপোষকদের আস্থা অপরিসীম। কেননা ভারত ও পাকিস্তানসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিতে তাঁর কাজ বহুল প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর সাথে এই প্রজেক্টে কাজ করছে ২০০ জনের একটি টিম এবং তারা সবাই এখন করাচীতে অবস্থান করছেন। এরা সবাই শহীদ রাসামের নিজ হাতে গড়ে তোলা দক্ষ কারিগর।