বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের জন্য চারটি টিম গঠন করা হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মইউদ্দিন খান ওই চারটি টিম গঠন করেন।
তিনি জানান, ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের জন্য সুন্দরবনের চারজন রেঞ্জ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনে সরজমিনে ঘুরে দেখে আগামী সপ্তাহের মধ্যে তারা রিপোর্ট দাখিল করবে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে সুন্দরবনের বন্য প্রাণী এবং বনজ দ্রব্যের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ভেসে যাওয়া চারটি মৃত এবং দুটি জীবিত হরিণ উদ্ধারের তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। তবে সুন্দরবনের বনজদ্রব্যের তেমন ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বাগেরহাটে সাড়ে ৬ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে : মৎস্য বিভাগ
তথ্য মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব প্রথমে সুন্দরবনে পড়ে। নদ-নদী ও খালে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়।
বন বিভাগ জানায়, বুধবার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সুন্দরনবনের বিভিন্ন অংশ ডুবে যায় এবং প্রায় ৫ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারও জোয়ারের সময় সুন্দরবনে দুই ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। তবে নদ-নদীতে প্রচন্ড ঢেউ ও পানির চাপ থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : খুলনায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষকরা সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনে কাজ করছে।
শরণখোলা রেঞ্জর সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের কাজ শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: সাতক্ষীরার ৪৪ পয়েন্টে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ