দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম পাটুরিয়া ও উত্তর বঙ্গে যাওয়ার অন্যতম নৌ-রুট আরিচা ঘাট। এছাড়া প্রতিদিন পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ২১ জেলার যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করে।
তাই ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ২৩টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত থাকবে।
পাশাপাশি মানিকগঞ্জের ৩৬ কিলোমিটার সড়কপথ, আরিচা, পাটুরিয়া নৌপথে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে ৬০০ পুলিশ। চালু থাকবে টেলিফোন সেবাও।
এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, পরিবহন খাতের নেতারাসহ সংশ্লিষ্ট ঘাট কর্তৃপক্ষের সমন্বয় সভা হয়েছে।
সভায় নানামুখী সিদ্ধান্তের মধ্যে পাটুরিয়া ঘাটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামলাতে ঘাটের উত্তর পার্শ্বে বিআরটিসি টার্মিনাল ব্যবহার করা হবে। মহাসড়ক ও সংযোগ রাস্তায় বালু ও মাটিবাহী কোনো ট্রাক চলাচল করতে পারবে না। নিরাপত্তায় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন ছাড়াও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেবা দেবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার (এজিম) আব্দুস ছালাম বলেন, ‘ঈদে যাত্রী-যানবাহন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ারুটে ১৭টি ফেরি ও আরিচা-কাজীরহাট রুটে ৬টি ছোট-বড় ফেরি সচল রাখা হয়েছে। ফেরিতে যানবাহন ওঠানামায় ঘাটের পন্টুন, অ্যাপ্রোচ সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। যানজট নিরসনে ঘাটের এক কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়ানওয়ে পদ্ধতিসহ ছোট ও বড় গাড়ির জন্য রাখা হচ্ছে আলাদা লেনের ব্যবস্থা। ঈদের চারদিন আগ থেকে বন্ধ থাকবে পন্যবাহী ট্রাক পারাপার।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ছাড়াই ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল বলেন, ‘ঈদযাত্রায় যাত্রীদের বড় একটি অংশ পারাপার হয় লঞ্চে। তাই ত্রুটিমুক্ত করা হয়েছে দুই রুটে ৩২টি লঞ্চ। এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ২০টি ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১২টি লঞ্চ চলবে।’