বৃহস্পতিবার রাত থকে রেডজোন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সেনা সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সেনা সদস্যরা লকডাউন এলাকায় টহল জোরদার করেছে।
জিনজিরা, শুভাঢ্যা, আগানগর, শাক্তা, কালিন্দী, কোন্ডা ও রোহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদকে রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। কলাতিয়া, বাস্তা ও তারানগর ইউপিকে ইয়োলো জোন করা হয়েছে। এছাড়া হযরতপুর ও তেঘুরিয়া ইউপিকে গ্রিন জোনের আওতায় রাখা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে নতুন করে ৩৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮৪ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।
শুক্রবার সকাল থেকে রেডজোন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সচেতন করছেন সেনা সদস্যরা। এছাড়া বাবুবাজার সেতু ও পোস্তগোলা সেতুতে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিত দেবনাথ জানান, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কেরানীগঞ্জে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রেডজোন এলাকাগুলো লকডাউনের আওতায় থাকবে। লকডাউনে থাকা এলাকাবাসীকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের সহায়তা দিতে ইতিমধ্যে সাতটি ইউপির চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা রেডজোন এলাকায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।