রবিবার জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা এ রায় ঘোষণা করেন।
হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- সোহেল, রাব্বি, রনি ও সাকিব। রাব্বি, রনি ও সাকিবকে শিশু আদালতে অভিযুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড
নিহত সফি উল্লাহর গ্রামের বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুরে।
মামলার তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯মে রাতে শহরের বারাহীপুর গাজীক্রস রোডের হাসান আলী ভূঁঞা বাড়ির পাশে হক ম্যানশন থেকে সফিউল্যাহর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন দেড় ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে আসামিরা। এ ঘটনায় তার ছেলে আবদুল মোতালেব বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রাব্বি, রনি ও সাকিব অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুল হক ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মুক্তির জন্য ফেনীতে দোয়া মাহফিল!
চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান চৌধুরী অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এক আসামি সোহেল ও শিশু আদালতে অপর তিন আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা। গত ১৩ অক্টোবর মামলার বাদি আবদুল মোতালেবের প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ মামলায় ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নামাজরত মাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহম্মদ জানান, আলোচিত এ মামলার রায়ে আসামি সোহেলের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা রায় দেন। গত বুধবার একই আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে।
সফিউল্যাহ হত্যা মামলার অভিযুক্ত অপর আসামি রাব্বি, রনি ও সাকিবকে শিশু আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।