কুষ্টিয়ায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে জনি (৩৪) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জনি (৩৪) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হাফিজুল প্রামাণিকের ছেলে।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিকালে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে দণ্ডপ্রাপ্ত জনি। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে জনি পালিয়ে যায়।
ওই দিনই ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে জনিকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: আশুলিয়া শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ দৌলতপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় অস্ত্র মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল-২ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মো. লিটন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি পূর্বপাড়া এলাকার মো. মকবুল সরদারের ছেলে।রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাহিরমাদি পূর্বপাড়া এলাকায় রোকনুজ্জামানেরর দোকানের সামনে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসা দুইজন যুবক পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় এক যুবক পালিয়ে গেলেও পুলিশ মো. লিটনকে আটক করে এবং তার দেহ তল্লাশি করে একটি কালো রংয়ের বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২ টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে।
পরে দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক গৌতম কুমার মণ্ডল।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার অস্ত্র মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।