শনিবার ভোরে ৩৯/৪টি নম্বর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের কাছে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
নিহত জামাল উদ্দিন (১৯) কালাইয়ের চর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে গরু আনতে কয়েকজনের সাথে সীমান্ত দিয়ে ভারতের আসামের অভ্যন্তরে মন্ত্রীর চরে যান রাখাল জামাল। এ সময় বিএসএফ তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়লে তা জামালের পাঁজরে লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যায়। শেষে বিকাল ৪টায় তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন তারা।
পরিবারের লোকজনের দাবি, গুলিবিদ্ধ জামালকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদরে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে কচাকাটা থানা পুলিশ বাড়ি থেকে জামালের মরদেহ উদ্ধার করে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ।
কুড়িগ্রামের বিজিবি-২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, ‘পাখিউড়া বিওপির অধীন সীমান্তে এক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া গেছে বলে জানতে পেরেছি। জামাল নামে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তার মরদেহ ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। বিএসএফ কিংবা চোরাকারবারিদের গুলিতে সে মারা গেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’