বছরের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং হল থেকে ২১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
রবিবার গভীর রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতরা হচ্ছেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, সিভিল ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ম্যাকাট্রোনিক ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার।
আরও পড়ুন: ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এদিকে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার ২১ জন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার গভীর রাতে লালন শাহ হলে উঠতে চাইলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ জন ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অন্তত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
নগরীর খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে কুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় তিনি মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার