পঞ্চগড়ে কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। আহতাবস্থায় শিশুসহ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের পাশে কমলাপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
গৃহবধূ লায়লার (২৬) বাড়ি জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার এলাকায়। সে ওই এলাকার উমেদ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামীর সাথে মোবাইলে ঝগড়া করতে করতে আড়াই মাস বয়সী কোলের শিশুকে নিয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন লায়লা। ট্রেনটি ছাড়ার মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ঘটনাটি ঘটনায় আকস্মিক ট্রেনটি থামিয়ে দেন ট্রেনের চালক। তারপরও ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন ওই গৃহবধূ। এসময় কোলে থাকা শিশু বেবীও রেল লাইনের উপর ছিটকে পড়ে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত শিশু বেবীসহ ওই গৃহবধূকে কমলাপুর রেললাইন থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক আল আমিন খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার মো. নাজমুল হোসেন জানান, পঞ্চগড় স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার তিন মিনিটের মধ্যেই এমন ঘটনাটি ঘটে। পরে চালক দ্রুতই ট্রেনটিকে থামিয়ে ফেলেন। এময় ট্রেনের স্পিড (গতি) কম ছিল এজন্য থামানো সম্ভব হয়েছে। তারপরও ওই নারী ট্রেনের ইঞ্জিন এসে ধাক্কা খান। পরে আমরা স্থানীয় লোকজনকে ডাকলে তাঁরা এসে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর সঙ্গে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে তাঁর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাঁর স্বামীসহ স্বজনেরা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে আসে। তার স্বামীসহ স্বজনেরা তাকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উদ্দ্যেশে যায়। তবে স্বামীর সঙ্গেই ঝগড়া-ঝাঁটি করে অভিমানে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’