সোমবার খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার টিম নগরীর ইসলামপুর রোডে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জুসের বোতলে করে খুলনায় ফেনসিডিল আসার চালানটি আটক করে। এ সময় গৌতম কুমার শীল (৪৬) নামে এক ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ছোট-বড় ১২টি জুসের বোতলে আনা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তবে অপর আসামি পরাগ চৌধুরী (৪৪) অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযান জোরদারকরণ ও অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনে সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট মাদকবিরোধী অভিযানের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সূত্রমতে, সংস্থার উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক পারভীন আক্তারের নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে নগরীর ইসলামপুরে রোডে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ শীলের ছেলে গৌতম কুমার শীলকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে খাটের নিচ থেকে প্লাস্টিক জুসের ১২টি ছোট বড় বোতলের মধ্যে ফেনসিডিল পাওয়া যায়। যার পরিমাণ ৬ লিটার।
গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক পারভীন আক্তার বলেন, অভিনব পন্থায় থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে মাদক চোরাকারবারীরা মাদকের চালান খুলনায় নিয়ে আসছেন, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, আটক গৌতম কুমার শীল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় এই চালানটি পরাগ চৌধুরী নিয়ে আসে। তার এখান থেকেই জুসের বোতলে করে ফেনসিডিল বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়া হয়। অপর আসামি পলাতক পরাগ চৌধুরীকে এর আগে ২০১৭ সালে মাদকসহ একবার আটক করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পন্থায় মাদকের চালান খুলনায় ঢুকছে। থার্টিফার্স্ট নাইটকে সামনে রেখে তার দপ্তর থেকে মাদকবিরোধী অভিযানের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত বার ক্লাব, দেশি মদের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বিশেষ টিম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সতর্কতামূলক অবস্থানে থাকা ও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। দিন-রাত বিশেষ টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে।