জ্বালানি তেলের ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবিতে খুলনায় জ্বালানী তেল সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকরা দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে খুলনার নতুন রাস্তা শ্রমিক ভবনের সামনে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সমর্থনে খুলনায় এ কর্মবিরতি পালন করেন চারটি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটের ডাক জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের
সংগঠনগুলো হলো-বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যান সমিতি।
কর্মবিরতি পালনকালে সভায় বক্তরা বলেন,জ্বালানী তেলের দাম বাড়লেও তেল পরিবহন ও উত্তোলনের সংশ্লিষ্টদের কমিশন বৃদ্ধি করা হয়নি। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে (বিপিসি) একাধিকবার চিঠি ও অভিযোগ জানিয়ে নামমাত্র কমিশন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যা মালিক ও শ্রমিকদের কোনো কাজে আসবে না।
৬ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট যা গেজেট আকারে প্রকাশ, ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রদান চালু, ট্রেড ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য কোন দপ্তর কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক ফিলিং স্টেশনের প্রবেশদ্বারে জমির জন্য ইজারা গ্রহণ প্রথা বাতিল, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সকল তেল ডিপোতে ট্যাংকলরী শ্রমিকদের বিশ্রামাগার ও শৌচাগার নির্মাণ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আজিম, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিজু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত