ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ইতিমধ্যে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদেশে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামে জেলা ও উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম। মজুদ করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। তিনি ইউএনবিকে বলেন, জেলার আওতাধীন প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। উপকূলীয় এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দামপাড়াস্থ বিদ্যুৎ অফিসে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরবাসীকে ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জনান।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-৬৩০৭৩৯ অথবা ০৩১-৬৩৩৬৪৯।
বুধবার মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া চসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির প্রধান কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম বলেন, নগরীর পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলীসহ উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা। এসব এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং দামপাড়ায় চসিকের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।