চট্টগ্রামে করোনায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ১১৪ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬ জনে। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৬০ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৮১২ জন নগরীর বাসিন্দা ও ২২ হাজার ৮৪৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।
শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৩৬ মৃত্যু
এইদিন কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ১১টি ল্যাব ও বিভিন্ন এন্টিজেন বুথে সর্বমোট তিন হাজার ৭৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ৫৯ ও উপজেলার ১৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৭৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের ২১৮ ও উপজেলার ৬২ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ১০৬ ও উপজেলার ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের এক জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে করোনায় একদিনে ১৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৫৮
নমুনা সংগ্রহের পরপরই ফলাফল প্রদানকারী এন্টিজেন টেস্টে ৭৩৯ জনের মধ্যে ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৯৭ জন ও উপজেলার ৯৮ জন।
এদিকে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে ১৯৯ নমুনা পরীক্ষা নগরীতে ৪৭ জন ও উপজেলার তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। শেভরন ল্যাবে ২৬৬ টি নমুনায় চট্টগ্রাম নগরীতে ৬৩ ও উপজেলার চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ২৮ জন ও উপজেলার একজনের করোনা শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১২ মৃত্যু
আরটিআরএল ল্যাবে ১৬ নমুনা পরীক্ষা নগরের আটজন আর উপজেলার দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬১ নমুনা পরীক্ষায় নগরে ৩২ জন আর উপজেলার দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরীতে ৫৩ জন ও উপজেলার ছয়জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে কেবল ১৯৫ টি। এর মধ্যে উপজেলার ২২ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে চট্টগ্রামে এরইমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যা ও আইসিইউ সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় প্রায় ৪২ লাখ ৬৬ হাজার মৃত্যু
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউন দেয়া হলেও মানুষের বিভিন্ন অজুহাতে ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতাই সংক্রমণ বাড়ার কারণ। তাই মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট তৈরি হয়েছে। আইসিইউ খালি নেই। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন।