চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. জোবায়ের, দিদার, আবু বক্কর বাঁশি, ইসমাইল, মো. জঙ্গ, শাহীন, বাবুল, ল্যাডা নাছির ও নুরুল ইসলাম। এদের মধ্যে শাহীন ছাড়া বাকি সবাই পলাতক আছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে সাক্ষ প্রমাণে ১০ জন আসামি দোষি সাব্যস্ত হওয়ায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে নৃশংসভাবে গলাকেটে খুন করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আসামি নিখোঁজ: জেলার, ডেপুটি জেলার প্রত্যাহার
হাজতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামে জেল সুপার, জেলারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা: ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নেছার আহমেদ দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় জেল খেটে ২০০৩ সালে তিনি দেশে ফেরত আসেন এবং আর প্রবাসে যেতে পারেননি। একই গ্রামের জনৈক এজাহার মিয়ার কাছে তিনি পাঁচ হাজার টাকা পেতেন। অনেকবার চাওয়ার পরও তিনি টাকা ফেরত পাননি। তার সাথে এলাকার সন্ত্রাসী ল্যাডা নাছির ও তার সহযোগীদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। ল্যাডা নাছির কৌশলে সেই টাকা উদ্ধারের কথা বলে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরি করে। ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর বিকালে এজাহারের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কথা বলে নেছারকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নেছারের স্ত্রী মোর্শেদা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কের ওপর তার স্বামীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।