চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আহমেদ হোসেন নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা তার বসতঘরে ভাঙচুর চালায় এবং লোকজন নিয়ে তার জমিতে জোর করে দেয়াল তুলে দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাহিদা সুলতানা নামে এক নারীকে আটক করলেও মূল অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের ঘটনা ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: ধুনটে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা
স্থানীয় সুত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায় অভিযুক্ত লোকমান ও তার স্ত্রী নাহিদা সুলতানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে লোকজন নিয়ে জোর করে মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের জমিতে দেয়াল তুলে দেয়। এই ঘটনার পর হাটহাজারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ নিজের ফেসবুক ওয়ালে নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের ছবি পোস্ট করে নির্যাতনকারীদের শাস্তি দাবি করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ সচেতন মহল এর প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে থাকে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের খবরটি জানতে পেরে রাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা, চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমি নিজে উপস্থিত থেকে নির্মিত দেয়ালটি ভেঙে দিয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ বলেন, এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত লোকমানের স্ত্রী নাহিদা সুলতানাকে আটক করেছি। লোকমানসহ তার অন্যান্য সহযোগিদের আটক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ: ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাসে ফিরেছে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার