পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- মো. শফি (৩৪), মো. বাদশা (৩৬), মো. জাভেদ (২৮) ও মো. রবিন (১৯)। এ ঘটনায় জড়িত মো. ইব্রাহিম (৩৬) নামে একজন এখনো পলাতক রয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতের এ ঘটনার পরে স্বামী-স্ত্রীকেও পুলিশ উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, রাতে বাসায় ফেরার পথে চাকরিজীবী স্বামী-স্ত্রী উভয়কে তুলে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে স্বামীর সামনে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে পাঁচ দুর্বৃত্ত।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ২টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশের হেল্পলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানানো হয় বায়েজিদ থানার মধ্যম শহীদনগর শফি কমিশনারের বাড়ির পাশে স্বামীকে আটক করে কতিপয় লোকজন তার স্ত্রীকে অন্ধকারে নিয়ে গেছে। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কয়েকজন দৌড়ে পালানোর সময় দুজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভিকটিম স্বামীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আশিকুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে কাজ শেষে ওয়াপদা গেট থেকে তাদের রৌফাবাদের বাসায় ফিরছিলেন। অনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় তারা অক্সিজেন আলপনা ক্লাবের সামনে পৌঁছাতেই শফি তাদেরকে আটক করে নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে এবং তারা স্বামী-স্ত্রী নয় বলে সন্দেহমূলক কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে শফি তার বন্ধু বাদশা, ইব্রাহিম, মো. জাবেদ ও রবিনদের জড়ো করে। পরে তাদের দুজনকে কথিত হুজুরের বাড়িতে নেয়ার কথা বলে জোর করে অটোরিকশায় তুলে নেয়। কয়েক ঘণ্টা তাদের ঘুরিয়ে রাত দেড়টায় দেলোয়ারকে অটোরিকশায় আটকে রেখে তার স্ত্রীকে মধ্যম শহীদনগর সালমা কলোনির ৫ম রুমে নিয়ে পাঁচজন ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।