চট্টগ্রামের হালিশহরে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এই সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকা উদ্ধার করে র্যাব-৭।
শনিবার রাতে পোর্ট কানেকটিং রোডে নবাব টাওয়ারের তৃতীয় তলায় রিক্রিয়েশন সেন্টার অ্যান্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির অফিস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কলেজ শিক্ষকের কব্জি বিছিন্ন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. ফেরদৌস আলম (৫৭), মো. দিদারুল আলম (৫০), মো. সাইফুল ইসলাম (৪১),মো. শাহাবুদ্দিন (৬২), মো. আবুল কালাম আজাদ (৬৬), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪০),মো. আলা উদ্দিন (৫০), মো. শহিদ উল্লাহ (৪৭), মো. জাকির হোসেন (৫৩), মো. তাওহিদুল মাওলা (৫১), গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ (৫৯), মো. সাইফুল ইসলাম (৫২), মো. আব্দুস সালাম (৭২), মো. জাকির হোসেন (৬৪), মোসাদ্দেক (৫৮), সুধীর দাস (৭২), নোমান (৪৮), কাজী মো. জাকারিয়া (৫৬), মো. নজরুল ইসলাম (৫৮), মো.সাইফুল আজম (৪২),মো. ফজলুল করিম (৫৪), মাহফুজজুর রহমান (৪৫), মো. হেলাল উদ্দিন (৬০), মো.বাবু (২৭), মো. শামসুল ইসলাম (৫৩), উৎপল চৌধুরী (৪৬), রবি শংকর (৪৩), মো. জসিম (৩৭), মো. সোহরাফ হোসেন (৪২), কাজী মোজাহিদুল ইসলাম নওশাদ (৫২), মহিউদুল্লা কাজল (৫৭), মো. আরিফুল ইসলাম (৪২), মো. ওহিদুর রহমান (৬৩), মো. আমিরুল ইসলাম (৬২), গোলাম রসুল (৬২), আব্দুর রশিদ (৪৭), মো. নুরুল ইসলাম (৬৪), মাহবুব নবী চৌধুরী (৫৭), মো. ফরিদ (৪২), আব্দুর শুক্কুর (৫৫), মো. আবুল হাসান (৩২), মো.শহীদুল ইসলাম সাগর (২৪), মো.সুমন চৌধুরী (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০), মো. ওমর ফারুক (৫২), মো. সোহাগ (১৯), মো. জসীম (২৩), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৭), মো. রফিকুল হাসান (৩৯), আশীষ গুহ (৫৫), মো. রেজাউল মাওলা (৪২), মো. মনির আহম্মদ চৌধুরী (৬৫), ও মো. মঞ্জুর আলম (৫৮)।
রবিবার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: বাসচালকসহ গ্রেপ্তার ২
তিনি জানান, রিক্রিয়েশন সেন্টার অ্যান্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিরেনার আসর বসিয়ে আসছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলারত অবস্থায় ৫৩ জনকে আটক করে। তাদের হেফাজতে থাকা বিভিন্ন রুম থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় তাস ১৫৫ সেট, জুয়া খেলার চিপ ৪৩০টি (বিভিন্ন রংয়ের) এবং নগদ তিন লাখ ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।