কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মবিরতি পালন করেছেন কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) নেতারা। এ কর্মবিরতি চলবে আগামীকালও। সোমবার সকাল থেকে তারা কাস্টমস হাউসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
একই সঙ্গে তারা শুল্কায়ন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) দুপুরে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করার অধিকার আছে,না করারও আছে। কাস্টমস হাউসে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই কর্মসূচি সারাদেশে চলছে। এটার মূল বিষয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রণীত কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ১২ ঘন্টা
তিনি বলেন, বিধিমালায় কিছু বিষয় আমাদেরকে নিপীড়নের জন্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আমরা তাদের অনেক দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। এটা যাতে করতে না পারি আমাদেরকে সাইজ করার জন্য এগুলো করা হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে বসবেন। এখন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান আছে। বিকালে ফেডারেশনের সভা হবে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমানকে ফোন করা হলে মিটিংয়ে আছে জানিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী ফোন রিসিভ করেন।
তিনি বলেন, কাস্টমস হাউস খোলা রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আন্দোলন করছে। তারা সকাল থেকে কাস্টমস হাউসের চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।
এর আগে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তার কোটিপতি স্ত্রীরা দুদক আতঙ্কে