প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে উল্লসিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুমন (৪০)। চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমন। মানুষের কাছ থেকে সাহায্য গ্রহণ করেই চলে তাঁর জীবন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক তাকে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করে আশ্রয়ের জন্য একটি ঘর দিয়েছেন অন্য ইউনিয়নে। সেটি হচ্ছে নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন খিদিরপুর মৌজায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ
থাকার জন্য নিজস্ব আশ্রয় পেয়ে মুখে হাঁসি ফুটেছে সুমনের। তিনি বলেন, ‘খাই বা না খাই শুকনা জাগায় ঘুমাইতে পারুম। এ ঘরের পেছনে ও আঙ্গীনায় নানা রকমের শাক-সবজি চাষ ও হাস-মুরগী পালন করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক ইউএনবি কে জানান, অন্ধ সুমন তার স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে আমার কাছে এসেছিল খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য, কিন্তু উপাদী উত্তর ইউনিয়নে বন্দোবস্তযোগ্য কোন খাস জমি ছিলনা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় অন্ধ সুমনকে প্রকল্প নির্দেশিকা থেকে ঘরের ছবি দেখানোর পর তার স্ত্রী সোনিয়া বেগম খিদিরপুরে যেতে রাজী হয়। সুমন এখন তার স্ত্রীকে নিয়ে অনেক খুশী। মনের আনন্দে শাক সবজি চাষ ও হাঁস মুরগী পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদের কোনও সন্তানাদি নেই।
আরও পড়ুন: চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকির মুখে কোটি টাকার আশ্রয়নকেন্দ্র
গত শুক্রবার সরেজমিনে খিদিরপুর এলাকায় গিয়ে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। নায়েরগাও (দক্ষিণ) ইউপি চেয়ারম্যান আ: আল মামুন জানান, সুমন দম্পতি এখন ভাল আছে, সুখে আছে। তাদের খুশীতে আমরাও খুশী।
সুমন জানান, সে প্রতিবন্ধী ভাতা পান না। পেলে তার জীবিকা নির্বাহে সুবিধা হতো।