জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৃথক ঘটনায় দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার কুমারী ও ডাউকি ইউনিয়নে এই সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষের সেলিম (২৫) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষের সমর্থক হিরণকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসাইন বলেন, আমার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পোয়ামারি গ্রামে আমার একটি অফিস ভাঙচুর করেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলামের লোকজন। তারা আমার কর্মী আলী হোসেনকে মারধরসহ তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনি খাতুনকে মেরে আহত করে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে আ'লীগের ১০ কর্মী আহত
একই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'এটা বিএনপি নাকি জামায়াতের অফিস তা কেউ জানে না। একটু ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে গেছে। তবে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’
অন্যদিকে, কুমারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, পথসভা শেষ করে আমার নির্বাচনী অফিসে আসি। এ সময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টুর কর্মীরা হঠাৎ আমার অফিসে ভাঙচুর চালায়। তারা আমার কর্মীর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন লাগায়। এছাড়া আয়ুব আলী নামে আমার এক কর্মীকেও মারধর করে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু বলেন, আমার কর্মীরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করেনি। উল্টো তারাই আমার একটি অফিস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে এবং তারা রিপন ও লাভলু নামের আমার দুই কর্মীকে মারধর করেছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, কুমারী ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছে দুজনের আহতের কথা জেনেছি। এছাড়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর একটি মোটরসাইকেল কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে সেটার খোঁজ করছি। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ডাউকি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার পর আমি দুটি ইউনিয়নেই পুলিশি টহল জোরদার করেছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের দু’দিন পর কেন্দ্র থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার