খুলনার কয়রায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার ছাত্রদলের নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিলনের কম্পিউটার চুরিকে কেন্দ্র করে বিচার মীমাংসা শেষে কয়রা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের বড়বাড়ি নাম স্থানে পৌঁছালে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আট জন মিলে মিলনকে কুপিয়ে জখম করে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
এ সময় জ্ঞান হারায় মিলন। তাকে মৃত ভেবে বস্তাবন্দি করে মোটরসাইকেলে করে তরিকুল ইসলাম ও রাশেদ খান কয়রার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ মিলনের জ্ঞান ফিরে এলে চিৎকার শুরু করে। মুহূর্তেই স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে তাদের মধ্যে তরিকুলকে আটক করে এবং বস্তাবন্দি মিলনকে উদ্ধার করে।
পরে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এসে তরিকুলকে আটক করে এবং মিলনকে কয়রার জায়গীরমহল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরবর্তীতে রাশেদ খানকেও আটক করে পুলিশ।
ওসি এবিএমএস দোহা জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম মিলনের মা বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এদিকে, গ্রেপ্তার ছাত্রদলের নেতা বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী বলেন, তরিকুল দলীয় কর্মকাণ্ডে নিস্ক্রীয়। ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
এছাড়া অনুরূপ কথা বলেন কয়রা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফ বিল্লাহ সবুজ।