ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকালে রাণীশংকৈল উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকা একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (২২), চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাদ (২১), একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (২২) এবং রকিম ও লস্কর নামে অজ্ঞাত দু’জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী গত ১৯ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার সাত বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে নিয়ে ভুক্তভোগী হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় রাণীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর অটোবাইক স্ট্যান্ড থেকে তাকে (২৮) অটোবাইকে অপহরণ করে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানেই অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূর ছেলে মাসুমের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে সামনেই মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ৩০ মামলার আসামি রেজাউল গ্রেফতার
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী দুই সন্তানের জননী। কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ডে কয়েক যুবক অটোবাইক চালকের যোগসাজশে ওই নারীকে কৌশলে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি আমবাগানের ভেতরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। রাত ১২টার সময় ধর্ষকরা ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ফজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এরপর ধর্ষক ফজলুর রহমান ও ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রিসাদ ও আকাশকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানায় পুলিশ।
নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।