সাভারের নবীনগর থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত লোকাল ও দূরপাল্লার বাসসহ প্রায় ছয় হাজার যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। বিপরীত দিকে, ঢাকাগামী শত শত গবাদি পশু বোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ সারি রাজধানীতে পৌঁছার অপেক্ষা করছে।
অন্য কোনো বিকল্প না থাকায় অনেক যাত্রীকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পাটুরিয়া ঘাট যেতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান তীব্র স্রোত ও ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পর্যাপ্ত ফেরি না থাকা এবং ফেরিগুলোর ধীর গতিকে দোষারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পানির তীব্র স্রোতের মধ্যে পুরানো ফেরিগুলো চালনার ক্ষমতা না থাকায় এবং এ রুটে অতিরিক্ত ফেরি যুক্ত না হওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে এখন মোট ১৬ টি ফেরি যানবাহন পরিবহন করছে।’
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, নদী পার হওয়ার জন্য অতিরিক্ত সংখ্যক যাত্রী ফেরিতে উঠছেন ফলে যানবাহন পারাপার করার জায়গা কমে আসছে। আইন প্রয়োগকারী সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন।
পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্ষতির ঝুঁকি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গরু বোঝাই ট্রাক চলাচলের পথ সুগম করতে কাজ করছেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে এক গবাদিপশু ব্যবসায়ী জানান, গবাদিপশু বিক্রির জন্য তিনি রাজধানীতে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে শুক্রবার ভোর থেকেই মানিকগঞ্জের রাস্তায় আটকে আছেন।
সময়মতো রাজধানীতে পৌঁছাতে না পারলে তাকে বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে বলে আশঙ্কার কথা জানান তিনি।