বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্সের কাছে সুলতান ঘাটে রাখা নৌকার নিচে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানবেতন জীবনযাপন করছেন তিনি। স্থানীয়রা যখন যে খাবার দিচ্ছেন তাই খেয়েই বেঁচে আছেন। বলা হচ্ছে নড়াইল শহরের কুরিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মৃত কালিপদ কুন্ডুর স্ত্রী মায়া রাণী কুন্ডুর (৮৫) কথা।
জানা গেছে, মৃত কালিপদ কুন্ডুর স্ত্রী মায়া রাণী কুন্ডুর দুই পুত্র সন্তান দেব কুন্ডু (৫০) ও উত্তম কুন্ডু (৪০)। উত্তম কয়েক বছর আগে বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করায় শহরের রূপগঞ্জ বাজারের বাঁধাঘাট এলাকার ব্যবসায়ী দেব কুমার মাকে দেখাশোনা করছিল। গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দেব তার মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করে এবং মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি অমিত সাহা তাকে কয়েক মাস তার নিজের বাড়িতে রাখেন।
কথা হলে কান্না জড়িত কণ্ঠে বৃদ্ধা মায়া রাণী কুন্ডু বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ছেলে ও ছেলের বৌ তাকে খেতে ও থাকতে দেয় না। তার পাঁচ শতকের একটি জায়গা ছিল। সে জায়গা তার সন্তান দেব কুমার বিক্রি করে দিয়েছে। পরে তারা তার সাথে খুব দুর্ব্যবহার করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ‘কিছুদিন এখানে ওখানে ছিলাম। এখন আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এ বাড়ি ও বাড়ি গেলে যা খেতে দেয় তাই খাই।’
এ ব্যাপারে মায়া রাণীর ছেলে দেব কুন্ডু বলেন, ‘বৌয়ের সাথে বনিবনা হয় না। আমি কী করবো।’
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।’