গেল তিন মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মহানগরীর পাঁচটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। এর আগে চলতি বছরের ২৫ মে খুলনার করোনা হাসপাতালগুলোতে করোনায় মৃত্যু শূন্য ছিল।
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতালগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। আর গত ১২ আগস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনায় সর্বনিম্ন একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া জেলায় ৯ জুলাই সর্বোচ্চ ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে নতুন ১২ জনসহ করোনায় ৯৯৬ মৃত্যু
এদিকে খুলনার হাসপাতালগুলোতে কমেছে রোগীর সংখ্যা। করোনা রোগীর চিকিৎসায় খুলনায় সরকারি তিনটি এবং বেসরকারি দুটি মিলিয়ে ৫টি হাসপাতাল রয়েছে। সোমবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১৫৩ জন।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ২৪ জন, ইয়েলো জোনে ১৯ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনায় কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ সকাল পর্যন্ত ২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় মারা গেলেন বিএনপি নেতা মাওলানা রশিদ
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ জন, তার মধ্যে ৪ জন পুরুষ, আর ২ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় কোন রোগী ভর্তি হয়নি, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
বেসরকারি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩৭ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৮ জন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু ৬
বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কারও মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪ জন। গতকাল ভর্তি হয়েছেন একজন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনজন।