গত কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের মানুষ। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না দুইদিন ধরে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ।
এদিকে দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদি পশুর। শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা।
আরও পড়ুন: শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম
জেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা। শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গবাদিপশুও রেহাই পাচ্ছে না শীতের প্রকোপ থেকে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কমলেও অনুভূত হাড় কাঁপানো শীত
এদিকে লালমনিরহাটে ঠাণ্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত নানা রোগ। যেমন- ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াম, হাঁপানি, অ্যাজমা, হৃদরোগসহ নানা রোগ। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী ভর্তি।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ শীতজনিত রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে- বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার যা ছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মেলায় সন্ধ্যায় তাপমাত্রা আরও কমে যাচ্ছে। ফলে সন্ধ্যার পরে আরও বেশি শীত অনুভূত হয়।