ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় দোশিয়া গ্রামে ও আবাদতাকিয়া মাদরাসা এলাকায় এক হাইস্কুল ছাত্রী ও এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে রানীশংকৈল থানায় রবিবার পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দোশিয়া গ্রামে ইয়াকুব আলির বিবাহিত ছেলে রিপনের (৩৫) সাথে স্কুলছাত্রীর কিছুদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে রিপন ওই কিশোরীকে বাড়ির পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে রিপন পালিয়ে যায়। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে স্থানীয়ভায়বে শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় বৈঠক ব্যর্থ হয়। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ শেষরাতে ঘটনাস্থলে এসে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়েটিকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ৪ জুলাই পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিপনকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। একই দিন ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, মেয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধর্ষণের চেষ্টা মামলা নেয়া হয়েছে। মেয়েকে মেডিকেল টেস্টের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে পাঠানো হয়েছে। আসামি রিপনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, উপজেলার শিংপাড়ায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে পূর্ব সম্পর্কের জের ধরে পীরগঞ্জ উপজেলার শামীম হোসেন (৩৫) গত ২ জুলাই রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে আবাদতাকিয়া মাদরাসার পাশে নিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আশপাশের লোকজন টের পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে শামীম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচা বাদী হয়ে গত ৪ জুলাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিশোরীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য ঠাকুরগাঁও পাঠানো হয়েছে।
শামীমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি (তদন্ত) আব্দুল লতিফ শেখ।