নওগাঁর মহাদেবপুরে মামুন হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে নওগাঁ-রাজশাহী সড়ক ভীমপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে এবং রবিবার দুপুরে ওই এলাকা থেকে মামুন হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যবসায়ী মামুন হোসেন উল্লাসপুর গ্রামের আলেফ আলীর ছেলে এবং তিনি স্যানিটারি ও সিমেন্টের তৈরি খুঁটির ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত ছেলের হাতুড়ির আঘাতে মায়ের মৃত্যু
আটক দুইজন হলেন- একই গ্রামের ট্রাক চালক দুলালের পুত্র সুমন হোসেন ও উল্লাশপুর গ্রামের সজিব হোসেন।
মহাদেবপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, মামুন বৈদ্যুতিক খুঁটি তৈরি করে বিক্রি করতেন। তিনি ট্রাকে খুঁটি নিয়ে বিক্রির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে যান। এসময় তার সঙ্গে ট্রাকচালক সুমন ও তার সহযোগী সজিব ছিলেন।
তিনি আরও জানান, রাতে ট্রাকচালক সুমন ও তার সহযোগী সজীব বাড়ি ফিরলেও মামুন বাড়ি ফেরেননি। পরে রবিবার সকালে মামুনের বিধবা মা তার সন্ধানে সুমন ও সজীবের উপর চাপ সৃষ্টি করেন।
বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হোসেন ওই দু’জনকে ডেকে জানতে চান। কিন্তু কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় তিনি নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসানকে জানান।
এরপর সদর থানার পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করেন, মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে ঘটনাস্থল মহাদেবপুর থানার অন্তর্গত।
বিষয়টি মহাদেবপুর থানাকে জানানো হয়।
মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহালসহ যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠান।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাকের চালক সুমন ও চালকের সহযোগী সজিব হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে। আটকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার অভিযোগ চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে
জমি লিখে না দেয়ায় কুড়িগ্রামে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে হত্যা