নড়াইলে কলেজশিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসকের) পক্ষে আইনজীবী লুৎফে জাহান পূর্ণিমা এই রিট দাখিল করেছেন।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।
আইনজীবী পূর্ণিমা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে নড়াইলের ডিসি, এসপি উপস্থিত ছিলেন। তারপরও একজন অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছে। কেন এমন ঘটনা ঘটলো এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট দায়ের করেছি। রিট আবেদনটির ওপর এ সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, নড়াইলের এসপি, ডিসিসহ সংশ্লিস্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: আ’লীগ নেতাকে অব্যাহতি
এর আগে গত ৩০ জুন এই রিট দায়ের করতে গেলে অনুমতি না দিয়ে হাইকোর্ট বলেছিলেন অবকাশকালীন বেঞ্চে দাখিল করতে। সে অনুযায়ী সোমবার রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে এক কলেজছাত্রের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
তবে পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে কলেজশিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষক হেনস্তা: গ্রেপ্তার আরও ১