শনিবার সকালে ওই ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয় এবং তার সাথে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তরা হলেন- হামিদুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩২), মেয়ে হাওয়া খাতুন (১৫) ও আব্দুল খালেক।
ভুক্তভোগী মোস্তফা আলী (৩৬) উপজেলার সর্দারপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি।
তিনি বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে আমার ছেলে অসুস্থ হলে আমি পাশ্ববর্তী থানা কালীগঞ্জ এলাকা থেকে একজন কবিরাজ নিয়ে এসে চিকিৎসা করি। হামিদুল ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের মাঝে সাংসারিক বিরোধ থাকার কারণে উক্ত কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করান। চিকিৎসা বাবদ তাদের ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। চিকিৎসায় তাদের কাজ না হওয়ায় তারা বিভিন্ন সময় আমার কাছে ওই টাকা ফেরত চায়, আমি টাকা দিতে অস্বীকার। এর জের ধরে গত শনিবার তারা আমাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী মহসেনা বেগম পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতনের শিকার মোস্তফা আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের রবিবার লালমনিরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।