স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে, জেলায় ২৭টি টিম ভ্যাকসিনেশনের কাজ করবে। এছাড়া ছয়টি টিম রিজার্ভ রাখা হবে। প্রথম ধাপে জেলায় ৯৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে; যা আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে যশোরে এসে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: দেশে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, 'স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যশোর জেলার জন্য ৯৬ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার কথা জানিয়েছে। যা আগামী চারদিনের মধ্যে আমাদের হাতে এসে পৌঁছাবে। এরপর ভ্যাকসিনগুলো জেলা ইপিআর স্টোরে সংরক্ষণ করা হবে। ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য আমিসহ চারজন প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছি। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে আমরাই টিকাপ্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করে নেব।'
আরও পড়ুন: দেশে কোভিড-১৯ টিকাদান শুরু ২৭ জানুয়ারি
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন দেয়ার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেই অনুসারে টিম সিলেক্ট করা হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে আটটি টিম, পুলিশ লাইন হাসপাতালে একটি, যশোর সেনানিবাসের অভ্যন্তরে সিএমএইচ-এ চারটি এবং সদর উপজেলা বাদে অন্য সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি করে টিম ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ করবে। এছাড়া ছয়টি টিম রিজার্ভ রাখা হবে। এর মধ্যে দুটি টিম থাকবে সিভিল সার্জন অফিসে এবং বাকি চারটি টিম যশোর জেনারেল হাসপাতালে রিজার্ভ হিসেবে রাখা হবে।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা কি মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে?
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, 'টিকা প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত হলেও কবে থেকে টিকা প্রদান শুরু হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। সরকারি সিদ্ধান্ত মতেই এ কাজটি শুরু হবে। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন করোনার টিকা দেয়া শুরু হতে পারে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: করোনার টিকা সংরক্ষণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার নির্দেশ
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘টিকা প্রদানের লক্ষ্যে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তি অনলাইনে বা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে গুজব ছড়ানো, রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী