রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:যশোরে চোর সন্দেহে মাদরাসাছাত্রকে ‘পিটিয়ে হত্যা’
ভুক্তভোগী শিশু আসাদ উল্যাহর (৯) মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে মাদরাসার আবাসিক প্রধান শিক্ষককে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
পুলিশ, পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম কুঠিরহাট মাদরাসার শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন শনিবার বিকালে পড়া না পারায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আসাদ উল্যাহকে বাঁশের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। পরে মাদরাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাদরাসার এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে খবর পায় আসাদ উল্যাহর মামা মো. সুমন। ঘটনাটি জানাজানি হলে আসাদ উল্যাহর মামা মো. সুমন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ওমর ফারুকসহ ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদরাসায় হানা দিলে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যায়। তারা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে কুঠিরহাট বাজারে একটি ক্লিনিকে শিশুটিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটে শিশু সদনের পাশ থেকে মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
চর মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওমর ফারুক জানান, ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শিশুটির মা ফাতেমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক ইসমাইল হোসেন প্রায়ই পড়া না পারার অজুহাতে আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করতেন। শনিবার আমার ছেলের বাম পা ও হাতের কবজি জখম ও রক্তাক্ত করেছে। এছাড়া ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। তিনি ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন:খুলনায় মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নুরুল আলম জানান, কয়েকদিন আগেও চার শিশুকে একইভাবে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এনায়েত উল্লাহ জানান, ছাত্রকে মারধরের ঘটনাটি দু:খজনক। শিক্ষকের অপরাধের দায়ভার প্রতিষ্ঠান বহন করবে না। যে অপরাধ করবে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ওই শিক্ষককে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।