চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী গোপাল কান্তিদাসকে ফেনীতে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো. সাইফুল ইসলামকে ফের ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মনির হোসেন। শুনানি শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৫ কর্মকর্তা আরও ৩ দিনের রিমান্ডে
এর আগে গত ১১ আগস্ট বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার ডিবি ওসি সাইফুল ইসলামকে ৪ দিন ও এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক এবং এএসআই অভিজিৎ রায় ও এএসআই মাসুদ রানাকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান।
গত শনিবার দুপুরে ডিবি ওসি ছাড়া বাকি ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে ফের ৩ দিন করে রিমান্ড দেয় আদালত।
আরও পড়ুনঃ স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৬ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
এদিকে রবিবার সকালে মামলার অধিক তদন্তের জন্য স্বর্ণবার ডাকাতির মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে। পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে মামলাটি হস্তান্তর করেন জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী। পিবিআই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলমকে। তিনি আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির মামলায় গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা।
একই দিন ডিবির অভিযুক্ত ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করে জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে ডিবির ওসিসহ ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, স্বর্ণের বার উদ্ধার
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল গত ৮ আগস্ট রবিবার চট্টগ্রাম থেকে ২০টি স্বর্ণের বার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তার গাড়ি গতিরোধ করে।গাড়ি তল্লাশির এক পর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামসহ অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো ছিনিয়ে নেয়। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া বাসা থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।