বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে এমভি ভাই ভাই নামে একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ওই ট্রলারের মালিক ও বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রতন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৮ আগস্ট রাতে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
মৃত জেলেরা হলেন-ঢলুয়া ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ছগির হোসেন এবং চট্টগ্রামের বাসিন্দা মো. রফিক। ওই ট্রলারে থাকা অন্য ১৭ জেলে নিরাপদে ভারতের কাকদ্বীপে পৌঁছেছেন। ট্রলার মাঝির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে এসব তথ্য জানিয়েছেন রতন মোল্লা।
রতন মোল্লা বলেন, ১৬ আগস্ট ১৯ জেলেকে নিয়ে তাঁর ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরতে যায়। তবে ১৮ আগস্ট সাগর উত্তাল হতে শুরু করলে তাঁরা ট্রলারটি নোঙর করে রাখেন। একপর্যায়ে সাগরের ঢেউয়ে ট্রলারের তলা ফেটে যায়। এরপর ট্রলারটি আস্তে আস্তে সাগরে ডুবে যেতে শুরু করলে সেখানে থাকা ১৯ জেলে লাইফ জ্যাকেট পড়ে সাগরে ঝাঁপ দেন। একপর্যায়ে ছগির হোসেন ও রফিক ডুবে যান। তবে অন্য ১৭ জেলে ভাসতে ভাসতে ভারত সীমান্তে চলে যান।
মাঝির বরাত দিয়ে রতন মোল্লা বলেন, ট্রলারে মাঝি জানিয়েছেন তাঁরা এখন ভারতের কাকদ্বীপে আছেন। আটকে পড়া জেলেদের কোনো আইনি বাধা ছাড়াই দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁদের স্বজনেরা সরকারের সহায়তা কামনা করছেন।
মারা যাওয়া জেলে ছগির হোসেনের বড় ভাই সোহরাব বলেন, ‘আমার ভাই আর ফিরে আসবে না। সাগর তাঁকে নিয়ে গেছে। আর কোনোদিন ফিরে আসবে না। ছোট দুইটা ছেলে আছে, ওদের এখন কী হবে!’
ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আল আমিন হোসাইন আরিফ মৃধা বলেন, বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে ঢলুয়া ইউনিয়নের ভাই ভাই নামে একটি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল। এতে ওই ট্রলারের দুই জেলে মারা গেছেন। বাকিরা ভারতের উপকূলে আটকা পড়েছেন। আটকে পড়া জেলেদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।