শনিবার দুপুর ২টার দিকের এই দুর্ঘটনায় অন্তত আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকসহ নিহত ২
যশোর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম জানান, বাসটি মাগুরা থেকে যশোরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে বাসটি অপর একটি গাড়িকে পাশ দিতে গিয়ে রাস্তার নিচে নেমে যায়। এ সময় বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও তাদের সাথে যোগ দেন।
তিনি জানান, বাসে ৩০-৩৫ যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১১ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়া অনেকে সামান্য আঘাত পাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক নিহত
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এনাম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় আহত ১১ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে আনার পথেই মারা যান। অন্যদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
দেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি:
দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা গত নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। মাসজুড়ে সংঘটিত ৪১৭ দুর্ঘটনায় ৪৩৯ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, গত অক্টোবর মাসে ৩১৪ দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত হন।
গত নভেম্বর মাসে এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এ ধরনের ১২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। যা মোট নিহতের ৩২.১১ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মোট ঘটনার ৩০.৬৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৪২ শতাংশ। আর যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, যা মোট নিহতের ১১.১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ৪৩৯: প্রতিবেদন
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। রাজধানীতে ১১১ দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২২ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ১০ বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।